নভেবম্বর মাসে সারাদেশে মানবাধিকার লংগনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ।
রিপোর্টি নিম্মরুপ
নভেম্বর মাসে সারা দেশে ১২৯ জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ০৪ জন মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। ১৫ টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ২২ জন নিহত হয়| ৫৫ টি সহিংস_হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৪ জন এবং আহত হয়েছে ২৭ জন। এছাড়াও ১২ টি গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২ জন এবং আহত হয়েছে ০৯ জন।
এ মাসে অপহরণ হয়েছে ৩৪ জন, অপহরণের পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ০৮ জনকে এবং হত্যার পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ০৫ জনের। রাজনৈতিক সহিংসতার ২০ টি ঘটনায় নিহত হয়েছে ০৭ জন, আহত হয়েছে ৩১৫ জন এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১৫ জন। বিভিন্ন অভিযানের নামে ২৫ টি গ্রেফতারের ঘটনায় সাধারণ জনগণ, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীসহ ৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বিএসএফ’ কর্তৃক ০৫ টি হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে ০৩ জন, আহত হয়েছে ০২জন এবং মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বিজিপি’ কর্তৃক ০১টি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ০৬ জনকে।
নারী নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনে নিহত হয়েছে ০৮ জন নারী এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ০৬ জন নারী, পারিবারিক কলহে নিহত হয়েছে ২২ জন এবং আহত হয়েছে ০৫ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন নারী, ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে একজনকে, এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী এবং যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে ৩১ জন শিশু ও নারী। এছাড়াও ২৩ টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০ জন নারী। শিশু নির্যাতনের ১৪ টি ঘটনায় নিহত হয়েছে ০৮ জন এবং আহত হয়েছে ১৮ জন।
এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর ১৮ টি হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছে ০২ জন, আহত হয়েছে ২০ জন এবং উপাসনালয়ে হামলা, প্রতিমা এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
ক্ষমতাশীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার ১১ টি ঘটনায় নিহত হয়েছে আহত হয়েছে ২৫ জন। এ মাসে বিভিন্ন স্থান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৬২ টি লাশ উদ্ধার করেছে যার মধ্যে ১৬ টি লাশ অজ্ঞাত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন